হরিদাস পাল | রবিবার, ২৪ জানুয়ারি ২০২১ | পড়া হয়েছে 226 বার
দীনেশ্বর ভালো মিস্টি কারিগর। ওর জন্যই মধুর দোকানে এত ভিড়। ওই যেন দোকানের লক্ষ্ণী। মধুকে আশপাশের দোকানেরা একটু হিংসেই করে। দীনকে লোভ দেখিয়ি অন্যান্য দোকান মালিকেরা নেবার চেষ্টা করেছিল, যায়নি ; কেননা মালিক খুব ভালো মানুষ এবং ওকে খুব ভালোও বাসে।
দীন দিন পনেরো হল করোনাকে জয় করে বাড়ি ফিরেছে। মধুর দোকানে গিয়ে দেখে প্রায় ফাঁকা।ও পুনরায় কাজে যোগ দিতে চাইলে বলল, ” আমারি চলছে না, তোকে রাখি কীকরে? রাখলে দোকানটা আরও ফাঁকা হয়ে পড়বে। তুই অন্য কোথাও দ্যাখ্। ”
দীন খুব আঘাত পেল। এই মধুর ভালবাসা? নিজের ছেলে হলে কি এভাবে বলতে পারত? একেই বলে আপন আর পর। দু ‘ ফোঁটা চোখের জল ফেলে ফিরে এলো।
দীন অন্যান্য মিস্টি মালিকের সঙ্গে দেখা করলেও সবার একই কথা — তোকে রাখলে দোকান চলবে না, দু ‘ দিনেই লাটে।
দীনের সংসার চলে না। মাস অন্তে সরকার থেকে যেটুকু সাহায্য পায়, তা দিয়েই চলে কষ্টেমষ্টে তার সমস্ত পরিবার। দীন তার স্ত্রী করুণাকে বলল, ” করোনা শুধু মানুষ খাচ্ছে না, জীবন চলার পথও। “
বাংলাদেশ সময়: ৩:৩২ অপরাহ্ণ | রবিবার, ২৪ জানুয়ারি ২০২১
জাপানের প্রথম অনলাইন বাংলা পত্রিকা | rita rita