অনলাইন ডেস্ক | রবিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২০ | পড়া হয়েছে 681 বার
গেল কয়েকদিন থেকে দেশে কওমী অঙ্গনের সবচেয়ে বড় মাদ্রাসা দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলন করে আসছিলো। এই আন্দোলন থামাতে ১৭ অক্টোবর মাদ্রাসার মহাপরিচালকের পদ থেকে সরে দাড়ান আল্লামা শাহ আহমাদ শফি।
এর একদিনের মাথায় ১৮ সেপ্টেম্বর মৃত্যুবরণ করেন দেশের আলেমদের ওস্তাদ ও বড় হুজুর খ্যাত এই আলেম।
তার মৃত্যুর পর প্রশ্ন তৈরি হয়েছে নানা টানা পোড়নে থাকা হেফাজত ইসলামের নেতৃত্ব কে আসছেনন?
হেফাজত ইসলামের একটি সূত্র বলছে, হেফাজতে ইসলাম নিয়ে ঢাকার আলেমদের তেমন কোনও আগ্রহ নেই। সে ক্ষেত্রে আমির হিসেবে জুনায়েদ বাবুনগরীকে দেখা গেলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।
হেফাজতের প্রভাবশালী একাধিক নেতা মনে করেন, জোনায়েদ বাবুনগরী ছাড়াও সিনিয়র নায়েবে আমির মাওলানা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী, ঢাকা মহানগর আমির মাওলানা নূর হোসাইন কাসেমী আমির হিসেবে সামনে থাকতে পারেন।
এদিকে, আহমেদ শফির মৃত্যুর পর দারুল উলুম হাটহাজারী মাদ্রাসার মহাপরিচালক ও বেফাকুল আরাবিয়া বাংলাদেশ (বেফাক) এর দায়িত্ব কে আসবেন তা নিয়েও জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়েছে।
গঠনতান্ত্রিকভাবে বেফাকের সভাপতি হিসেবে সরকারি স্বীকৃত কওমি বোর্ড আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামি‘আতিল কওমিয়া’র চেয়ারম্যান নিযুক্ত হন। সেক্ষেত্রে বেফাকের সভাপতি যিনি হবেন, তিনিই হাইয়াতুল উলয়ার চেয়ারম্যান। এই কারণে পদটি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।
বেফাকের কয়েকজন দায়িত্বশীলের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বেফাকের বর্তমান মহাসচিব মাওলানা আবদুল কুদ্দুছ ইতোমধ্যে বিতর্কিত। হেলিকপ্টারে চলাচল, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের সঙ্গে ব্যক্তিগত ফোনালাপ ফাঁসের কারণে তিনি বেকায়দায় রয়েছেন।
বেফাকের বর্তমান সহসভাপতি নূর হোসাইন কাসেমী, নুরুল ইসলাম নতুন সভাপতি হিসেবে সামনের দিকে রয়েছেন।
হযরত মাওলানা আতাউল্লাহ ইবনে হাফেজ্জী ও সরকার সমর্থক হিসেবে বেফাকের বর্তমান সহ সভাপতি, যাত্রাবাড়ি মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা মাহমুদুল হাসানের সম্ভাবনাও তৈরি হতে পারে, এমন সম্ভাবনার কথা প্রতিবেদকের কাছে দাবি করেছেন কেউ-কেউ।
বাংলাদেশ সময়: ৬:১৫ অপরাহ্ণ | রবিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২০
জাপানের প্রথম অনলাইন বাংলা পত্রিকা | pr placid