অনলাইন ডেস্ক | মঙ্গলবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২০ | পড়া হয়েছে 424 বার
ওমর শাহ:
জাপানের মাত্র ৪২.৬ শতাংশ কোম্পানি নারীদের পরিচালনা ব্যবস্থায় পদোন্নতি দিয়েছে, যা গত বছরের তুলনায় ৭.৪ পয়েন্ট কম। দেশটির সাম্প্রতিক এক বেসরকারী সমীক্ষায় এমন তথ্য উঠে এসেছে।
টিকোকু ডাটা ব্যাঙ্ক লিমিটেড নামের একটি বেসরকারী সংস্থা জুলাইয়ে সমীক্ষাটি চালায় বলে ১৪ সেপ্টেম্বর জাপান টুডের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
সমীক্ষায় দেখা যায়, করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে সৃষ্ট অর্থনৈতিক মন্দায় জাপানের কোম্পানিগুলো নারীদের পদোন্নতির ক্ষেত্রে কম মনোনিবেশ করেছে।
তবে নারীদের পদোন্নোতি কম দিলেও জাপানের বহু সংখ্যক কোম্পানি সামগ্রিক কর্মসংস্থান বজায় রাখতে বেশি জোর দিয়েছে বলে সমীক্ষায় উঠে এসেছে।
সমীক্ষা অনুসারে, ৪১ শতাংশ কোম্পানি নারী কর্মীদের সক্রিয়ভাবে নেতৃত্বের পদে বসায়নি যা গত বছরের একই সমীক্ষার চেয়ে ৭ পয়েন্ট বেশি।
সর্বশেষ সমীক্ষায় ১৬.৪ শতাংশ কোম্পানি নারীদের কোনো রকম পদোন্নোতি করেনি যা গত বছর বছরের একই সময়ের করা সমীক্ষার ০.৪ পয়েন্ট বেশি।
যে কোম্পানিগুলো সক্রিয়ভাবে নারী শ্রমিকদের পদোন্নোতি দিয়েছে তাদের ৭১.৮ শতাংশ বলেছে তারা লিঙ্গের ভিত্তিতে নয় বরং প্রতিভার ভিত্তিতে নারীদের পদোন্নোতি দিয়েছেন।
প্রায় ৩০ শতাংশ কোম্পানি কর্মক্ষেত্রে নারীদের কাজ করার যে ধারণা ছিল তা পরিবর্তন করার চেষ্টা করেছে। যা এর আগে আরো কম ছিল বলে সমীক্ষায় বলা হয়।
সমীক্ষায় দেখা গেছে, জাপানের বেসরকারী কোম্পানিগুলোতে নারীদের জন্য গড়ে মাত্র ৭.৮ শতাংশ পদ রয়েছে, যা জাপান সরকার নির্ধারিত ৩০ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক কম। নারীদের নেতৃত্ব রয়েছে এমন কোম্পানি মাত্র ২১.৭ শতাংশ।
খাত ওয়ারি হিসেবে খুচরা বিক্রেতা, রিয়েল এস্টেট ও পরিষেবা শিল্পগুলোতে আরও বেশি নারীদের পদোন্নতি করতে আগ্রহী ছিল, তবে নির্মাণ ও পরিবহন খাতে তা ছিল কম।
নারী শ্রমিকদের কাজে উৎসাহিত করার জন্য আরো সুন্দর ও আরামদায়ক পরিবেশ তৈরি করা জরুরি বলে মনে করে সমীক্ষাকারী সংস্থা টেকোকু ডাটা ব্যাঙ্ক। নারীদের কাজে উৎসাহিত করার পরিবেশ পরিবারের নারীদের উপর বোঝা কমাবে।
সমীক্ষায় জাপানের ২৩,৬৮০ কোম্পানির তথ্য নেয়া হয়েছে। যার মধ্যে ১১,৭৩২ বা ৪৯.৫ শতাংশ সাড়া ফেলেছে নারীদের বিষয়ে তথ্য দিতে।
তথ্যসূত্র: জাপান টুডে
সম্পাদনায়: পি.আর প্ল্যাসিড
বাংলাদেশ সময়: ৬:২২ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২০
জাপানের প্রথম অনলাইন বাংলা পত্রিকা | pr placid