নাশিদ ববি | রবিবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১ | পড়া হয়েছে 604 বার
আমাদের রান্নাঘরের পাশে লেবুর বাগান
জানালা খুললে লেবুর মিষ্টি সুবাস পাওয়া যায়
সক্কালবেলা একেবারে শান্ত পরিবেশ
টুং টাং শব্দ , বুঝতে পারছি মা রান্নাঘরে ।
রুটি ,আলু ভাঁজি ,ডিম ভাঁজি আর সুন্দরী চা
ভালো লাগত রান্নাঘরে মাকে সাহায্য করতে
বড় লোহার তাওয়া চুলোর উপর দিলাম
মা রুটি বেলছেন আর আমি রুটি ছেঁকি ।
রুটিটা তাওয়ায় দেওয়ার পর অদ্ভুদ ভাবে সেটা ফুলে বড় হয়ে যেত
দেখে মনে হত রুটি বেলুনে পরিণত হয়ে গেছে , যে বেলুন খাওয়া যায় ।
স্মৃতির পাতা গুলো ভুলা যায় না ,
টেবিলে সব সাজানো গুছানো
ফুলকো রুটি ,আলু ভাঁজি ,ঝাল ঝাল ডিম ভাঁজি ।
সবাই একসাথে গল্প করতে করতে খাওয়া
সবার শেষে চায়ের পর্ব আর সেটা আমার ভাগে ,
সেই চা বানানো তো মায়ের কাছ থেকে শিখেছি
রান্নাঘরটি ছিল আসল বিদ্যালয় ।
এই ছিল আনন্দমুখর পরিবেশ
নানান রকম মশলা দিয়ে চা ,
এক কাপ চা আর তার সাথে সব ভুলে যাওয়া ।
কিছু প্রশ্ন সব সময়ই একই রকম
আচ্ছা মা তুমি কি এখনো চা বানাতে পারো ?
আচ্ছা মা তুমি কি ঠিক মত বসতে পারো ?
তোমার হাত গুলো কি বেশি বুড়ো বুড়ো হয়ে গেছে ?
বয়স হলে সবাই বুড়ো হয়ে যায় ?
তুমি কখন বুড়ো হবে না।
মা , আমি ও কি বুড়ো হয়ে যাবো ?
বয়সের ভারে কুঁজো হয়ে যাবো ?
দৌড় ঝাঁপ কিছুই করতে পারবো না?
ভীষণ ভয় হয় যদি অচিরে হারিয়ে যাই অজানায়
সব এতো তাড়াতাড়ি কেন শেষ হয়ে যায় ,
মা তুমি আমাকে ক্ষমা করো
আমি তোমার অবাধ্য আর হবো না,
আমি যে তোমার থেকেই সৃষ্টি ।
তুমি সবসময় আমাদের দোয়া করো জানি
মা আমি তোমাকে যত খানি ভালোবাসি ,
তুমি তার চেয়েও অনেক বেশি ভালোবাসো
মা আর সন্তানের ভালোবাসা হল স্বার্থহীন সত্য ভালোবাসা ।
বাংলাদেশ সময়: ২:২৮ অপরাহ্ণ | রবিবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১
জাপানের প্রথম অনলাইন বাংলা পত্রিকা | rita rita