ওমর শাহ | বৃহস্পতিবার, ২৮ জানুয়ারি ২০২১ | পড়া হয়েছে 44 বার
কোভিড-১৯ এর বিস্তার রোধে জাপান সরকার দেশবাসীকে বিনা প্রয়োজনে বাড়ির বাইরে যেতে নিষেধ করছে। আর এর মধ্যেই ক্ষমতাসীন জোটের কিছু আইনপ্রণেতার নাইটক্লাব দাপিয়ে বেড়ানোর কাণ্ডে লজ্জিত হয়ে দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চেয়েছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদে সুগা।
করোনা সংক্রমণের বিস্তার রোধে বেশি রাতে বাইরে না যাওয়ার নির্দেশ থাকলেও জাপানের ক্ষমতাসীন জোটের কয়েকজন আইনপ্রণেতাই সেই নির্দেশ মানেননি৷ তারা নাইটক্লাবে যাওয়ায় ক্ষমা চাইতে হলো প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদে সুগাকে ৷
সরকার কোভিড -১৯-এর বিস্তার রোধে জনগণকে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে সরকার৷ তবে ক্ষমতাসীন জোটের একাধিক সাংসদকে গভীর রাতে দেখা গেছে নাইটক্লাবে৷
তাই বিব্রত প্রধানমন্ত্রী ২৭ জানুয়ারি (বুধবার) সংসদে বলেন, ‘‘এ ঘটনার জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত৷ আমি জনগণকে রাত ৮টার পর বাইরে না খেতে এবং জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধ করছি৷ আইন প্রণেতাদের সবাইকেই জনগণের মনোভাব বুঝতে হবে৷”
করোনার তীব্র সংক্রমণ ঠেকাতে এ মাসে টোকিওসহ অন্যান্য অঞ্চলেও জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে৷ বার এবং রেস্তোরাঁগুলো রাত আটটার পর বন্ধ রাখার কথা বলা হলেও, নিয়ম অমান্যকারীদের জন্য কোনো শাস্তির বিধান নেই৷
ক্ষমতাসীন লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক দলের প্রবীণ আইনপ্রণেতা মাটসুমোটো টোকিওর দুটি নাইট ক্লাবে গিয়েছিলেন৷ আরেক আইনপ্রণেতা কিয়োহিকো শুক্রবার রাতে একটি নাইটক্লাবে যাওয়ার কথা জানান৷
এ ঘটনা নিয়ে টুইটারেও অনেকে হাতাশা প্রকাশ করেছেন৷ একজন লিখেছেন, ‘‘জনগণ ক্ষোভে ফেটে পড়া এখন শুধু সময়ের ব্যাপার৷ আমি চাই তারা পদত্যাগ করুক৷”
আরেকজন টুইট করেছেন, ‘‘তারা আসলেই বোকা, তাদের কি ধারণা জনগণ তাদের কার্যকলাপ বুঝতে পারে না? যদি তা ভেবে থাকেন, তাহলে তারা জনগণের প্রতিনিধিত্ব করার অযোগ্য৷’’
বাংলাদেশ সময়: ১০:২৭ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২৮ জানুয়ারি ২০২১
জাপানের প্রথম অনলাইন বাংলা পত্রিকা | Omar Saha