অনলাইন ডেস্ক | বুধবার, ১৪ অক্টোবর ২০২০ | পড়া হয়েছে 50 বার
শর্ত ভঙ্গ করার অভিযোগে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ২০১৮-১৯ সালে অনেকগুলো এনজিওর কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে সরকার। গেল বছরের সেপ্টেম্বরে সর্বশেষ ‘মুক্তি-কক্সবাজার’ নামে একটি এনজিওর কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়।
এছাড়া রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে যাওয়ার বিষয়ে নিরুৎসাহিত করাসহ বিভিন্ন অভিযোগ থাকায় কয়েকটি এনজিওর বিরুদ্ধে স্থানীয় প্রশাসন তদন্ত করছে বলে জানা গেছে।
অভিযোগ উঠেছে, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কার্যক্রম চালানো কয়েকটি এনজিও সংস্থা রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে যেতে নিরুৎসাহিত করছে। তারা ভাসানচরকে রোহিঙ্গাদের জন্য ‘জেলখানা’ বলে অভিহিত করছে। এই অবস্থায় এ সকল এনজিওর কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছে স্থানীয়রা।
এ সম্পর্কে নিরাপত্তা বিশ্লেষক ও অবসরপ্রাপ্ত এয়ার-কমডোর ইশফাক ইলাহী চৌধুরী বলেন, ভাসানচর সম্পর্কে নেতিবাচক প্রচারণায় কিছু এনজিও- জড়িত রয়েছে। তারা এনজিও ব্যবসা চালানোর জন্যই চায় না রোহিঙ্গারা ভাসানচর যাক। রোহিঙ্গাদের স্থানান্তর তো বটেই এমনকি রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনও চায় না এই এনজিওগুলো।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঢাকা থেকে ভাসানচরে যোগাযোগ কঠিন হওয়া, উন্নতমানের হোটেল না থাকাসহ বিভিন্ন কারণে বিদেশি এনজিও সংস্থাগুলো চাচ্ছে না রোহিঙ্গারা ভাসানচরে যাক।
নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, এনজিওগুলোর কর্মকাণ্ডের আড়ালে বিভিন্ন দেশের গোয়েন্দা সংস্থা তাদের তৎপরতা চালিয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রে ভাসানচর সে কার্যক্রম ব্যহত হতে পারে বলে মনে করছে তারা। যে কারণে বিদেশি গোয়েন্দাদের এজেন্ডা বাস্তবায়নকারী এনজিওগুলো ভাসানচরে যাওয়ার ব্যাপারে নেতিবাচক প্রচারণা চালাচ্ছে।
জানা যায়, অবৈধ কার্যক্রম চালানোর অভিযোগ রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এ পর্যন্ত অর্ধশতাধিক এনজিওর কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে সরকার। কয়েকটি সংস্থা তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের ব্যাখ্যা দেওয়ার পর তাদের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়।
তবে সর্বশেষ নিষিদ্ধ হওয়া ‘মুক্তি-কক্সবাজার’ ও ‘মারকাজুল ইসলামি’ এর বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাতে সহায়তার অভিযোগ উঠেছিলো। পরে রোহিঙ্গা ক্যাম্পসহ সারাদেশ থেকে ‘মারকাজুল ইসলামি’র কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়।
বর্তমানে রোহিঙ্গা শিবিরে ১৪৬টি এনজিও কাজ করছে। এর মধ্যে ৮০টি আন্তর্জাতিক এবং বাকিগুলো জাতীয় ও স্থানীয় এনজিও।
বাংলাদেশ সময়: ৬:০২ অপরাহ্ণ | বুধবার, ১৪ অক্টোবর ২০২০
জাপানের প্রথম অনলাইন বাংলা পত্রিকা | Omar Saha