| বুধবার, ০১ জুলাই ২০২০ | পড়া হয়েছে 49 বার
প্রবেশ নিষেধাজ্ঞার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়া দেশগুলো হলো- গায়ানা, কিউবা, গুয়াতেমালা, গ্রেনাডা, কোস্টারিকা, জামাইকা, নিকারাগুয়া, হাইতি, সেন্ট ভিনসেন্ট এন্ড গ্রেনাডাইনস, আলজেরিয়া, এসওয়াতিনি, ক্যামেরুন, সেনেগাল, মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র, মৌরিতানিয়া, ইরাক, লেবানন এবং জর্জিয়া।
বিদেশী নাগরিক যারা জাপানে অবস্থান করছেন তারা আগামী ১৪ দিনের মধ্যে জাপান ত্যাগ করতে হবে। আজ ১ জুলাই থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘোষণা করেছে যে জাপানের বাইরে ইস্যু করা ভিসার স্থগিতাদেশ জুলাইয়ের শেষ অবধি বাড়ানো হবে।
এই বিধিমালার আওতায় ৩০ জুনের মধ্যে জাপানের যে সকল বাসিন্দা দেশ ত্যাগ করেছেন এবং স্থায়ী বাসিন্দা, দীর্ঘমেয়াদী আবাসিক ভিসাধারক, বা স্বামী বা স্ত্রী বা স্থায়ী বাসিন্দার সন্তান বা এই জাতীয় মর্যাদার অধিকারী একজন জাপানী নাগরিক এই বিধিমালার আওতায় ছাড় পাবেন।
অন্যান্য ভিসা স্ট্যাটাসযুক্ত লোকেরা ও যারা জুলাইয়ের পরে জাপান ছাড়ার পরিকল্পনা করছেন তাদের পুনঃ প্রবেশের জন্য কঠোর শর্ত পূরণ করতে হবে। মানবিক কারণে বিশেষ অনুমতি দেওয়া যেতে পারে, উদাহরণস্বরূপ, কোনও আত্মীয়ের মৃত্যুর ক্ষেত্রে বা চিকিত্সা জরুরী অবস্থার জন্য তা শিথিল হবে ।
জাপানের কঠোর প্রবেশের নিয়মগুলোর তীব্র সমালোচনা করেছেন প্রবাসীরা ও বিদেশী ব্যবসায়ী লবি গ্রুপগুলো। কারণ এই নিষেধাজ্ঞা কেবল পর্যটকদেরই নয়, দেশের বৈধ নাগরিক ও ব্যবসায়িকদেরও ক্ষতিগ্রস্থ করেছে।
জাপানের এমন সিদ্ধান্তের বিপরীতে ইউরোপীয় ইউনিয়নও চলতি সপ্তাহে জাপানসহ কয়েক ডজন দেশের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের কার্যনির্বাহী সংস্থা ইউরোপীয় কমিশন জাপানকে নিষেধাজ্ঞা থেকে ছাড় দেওয়া হবে কিনা তা এখনও নিশ্চিত করেনি।
তবে যদি তা হয় তবে এই নিষেধাজ্ঞাগুলি শিথিল করার অর্থ জাপানি নাগরিকরা তাদের ভিসা মর্যাদাহীন বিবেচনা না করে ইইউ দেশে প্রবেশ করতে পারে, যদিও কিছু ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য দেশ ভ্রমণকারীদেরকে কোয়ারেন্টেনে যেতে বলতে পারে।
তথ্যসূত্র: জাপান টাইমস
বাংলাদেশ সময়: ৯:৫৪ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ০১ জুলাই ২০২০
জাপানের প্রথম অনলাইন বাংলা পত্রিকা | Omar Saha