রুকাইয়া জাহান মিম | রবিবার, ০৪ অক্টোবর ২০২০ | পড়া হয়েছে 249 বার
বাংলা ডিকশনারিতে `গাবর’ বলে কোন শব্দ নই। কিন্তু এই যুগের পোলাপান `গাবর’ শব্দটি বেশ ব্যবহার করে। অন্যদিকে `পোলাপান’ শব্দটিও বাংলা ডিকশনারিতে নাই। কিন্তু বর্তমানে বিভিন্ন ব্লগ, পাঠকদের সাহিত্য এমনকী পত্রিকাতেও পোলাপান শব্দটি ব্যবহার হয়।
বাংলায় এমন বহু শব্দ রয়েছে যা ঠিক ডিকশেনারি সম্মত নয়। অথচ মামা গেছ, বাবু খাইস ছাড়া এখনকার পোলাপান কথাই বলে না।
প্রশ্ন হচ্ছে এগুলো ডিকশেনারিতে যুক্ত হবে কবে?
সম্প্রতি বাংলা একাডেমী বেশকিছু শব্দ ডিকশনারিতে যুক্ত করেছে যেগুলো পূর্বের সাহিত্যিকরা প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। অর্থাৎ সময়ের ব্যবধানে শব্দের গ্রহণযোগ্যতা বেড়েছে।
সবচেয়ে প্রাচীন ইংরেজী ডিকশনারি মেরিয়াম-ওয়েবস্টার, অক্সফোর্ড এবং অন্যান্য ডিকশনারিতেও প্রতিবছর শব্দ যোগ করা হয়। কিন্তু শব্দকে স্বীকৃতি দেয়ার আগে কিছু যাচাই বাছাইও করতে হয়। এই কাজটি যারা করেন তাদের বলা হয় লেক্সিকোগ্রাফার বা অভিধানকার।
লেক্সিকোগ্রাফারদের কাজই হলো শব্দ খোঁজা। এজন্য প্রতিদিন তারা বিভিন্ন বই, সংবাদপত্র, ম্যাগাজিন এবং ইলেকট্রনিক প্রকাশনা পড়েন। নতুন শব্দ পেলেই তা নোট করেন।
ডিকশেনারিতে যুক্ত করতে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয় শব্দটির বয়স এবং কত মানুষ এটি ব্যবহার করে তার ওপর।
প্রাথমিক এই শর্ত পূরণ হলেই কিছু ডিটেইলস গবেষণা করা হয়। যেমন শব্দটির বানান কী, অন্য কোনো শব্দের সাথে মিল রয়েছে কি না, কী অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে, কীভাবে ব্যবহৃত হয়েছে ইত্যাদি। এসব শর্ত পূরণ হলেই শব্দটি ডিকসেনারিতে স্থান পায়।
অর্থাৎ ডিকশেনারিতে যুক্ত করতে হলে শব্দটি বেশি করে উচ্চারন করতে হবে। প্রচার করতে হবে। তবেই ডিকশেনারিতে যুক্ত হবে কোন শব্দ।
বাংলাদেশ সময়: ৭:২০ অপরাহ্ণ | রবিবার, ০৪ অক্টোবর ২০২০
জাপানের প্রথম অনলাইন বাংলা পত্রিকা | pr placid