শীতল চট্টোপাধ্যায় | শনিবার, ১৫ জানুয়ারি ২০২২ | পড়া হয়েছে 178 বার
জীবনটাকে বাঁশি ভাবলে হবে সে জীবনও বাঁশি
জীবন সুরকে সে বাঁশি বাজাবে টাটকা এবং বাসি ৷
ছোটবেলা থেকে জীবনকে বাঁশিতেই নিলে চিনে
দু’এক ফোঁটা জীবনেরই সুর মিলবে বেসুরো দিনে ৷
এক জীবনের অভাবেও পারে বাঁশি শান্তনা দিতে
বলে- আমাকে বাজিয়ে নাওনা অন্তরায়কে জিতে ৷
অভাবের মাঝে কষ্ট বাড়লে , হারালে মনের দিশা
বাঁশিতে তোমাকে চিনলে কেউ একটু মেটাবে তৃষা ৷
জীবনের অতি কঠিনও হলে বাঁশি কথাতেই গড়া
সে কথা দিয়েই জীবনের লিপি যায় লেখা ও পড়া ৷
জীবন বাঁশির অনায়াস সুর দূরবাসি নিলে জুড়ে
নিজের বাঁশিতে নিজে হারিয়েই উন্মনা -মন উড়ে ৷
সেই সুর থেকে সুর বদলিয়ে জীবন চড়াই- খাদে
সাথে বাঁশিটাও সময় সুরকে প্রাণে জুড়ে নিয়ে সাধে ৷
সুসময়ে বাঁশি কম ফুঁ পেলেই তারও অন্তর বোঝে
বাঁশি হৃদয়ও স্বাভাবিক সুর পেতে উদগ্রীবে খোঁজে ৷
বাঁশিটা ফাটলে মনের সুতো জড়িয়ে দিলেই তাতে
আবারও বেজে রাত্রি পেরিয়ে বাজবে পরের প্রাতে ৷
জীবন বাঁশিটা জীবন থেকে কখনো যায়না সরে
একটা জীবন , সারা জীবনই বাঁশিতেই থাকে ভ’রে ৷
ওপরে দেহ , ভেতরে বাঁশি, যদি তার হতে পারি
একাকী বেলার অবলম্বনে ধরব হাতটা তারই ৷
হাঁটা ক্লান্তিতে যখনই দু’চোখ জুড়ছে ঘুমের সুরে
ঘুমন্ত বাঁশি বাজছে তখনও ঘুমের স্বপ্ন পুরে ৷
বাংলাদেশ সময়: ১০:১১ অপরাহ্ণ | শনিবার, ১৫ জানুয়ারি ২০২২
জাপানের প্রথম অনলাইন বাংলা পত্রিকা | rita rita