শাহ্জাহান আলী ভূইয়া | রবিবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ | পড়া হয়েছে 338 বার
করোনা ভাইরাস এ গোটা বিশ্ব টালমাটাল
প্রতিদিন হাজার মানুষের নিথর লাশ
মৃত্যুপুরীতে স্থবির যখন সারা জাহান
অতি উৎসাহিত বাঙ্গালীর অন্ধ চোখ, দেখছে কি সেই করুন আহাজারি।
গ্রামের বাজারগুলোতে উপচে পড়া ভিড়
চায়ের দোকানে আগের মতই আড্ডা
বাংলার গ্রামগুলো হবে করোনার আতুরঘর
বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার মন্তব্য, বাঙালির কাছে যেন হাস্যকর।
বিনা যুদ্ধে বিশ্বজুড়ে বন্দি সবাই ঘরে, যুদ্ধরত দেশপ্রেমিক সেনা দেশের ক্লান্তি কালে
আল্লাহ চাহলে করোনা নিশ্চয় হবে পরাহত
আর্শীবাদ করি তারা যেন থাকেন অনির্বান
অপবাদ ছাপিয়ে পুলিশ আজ জনতার মনিহার।
পাপের দুনিয়ায় প্রাশ্চচিত্ত আজ “কভিড-১৯”
স্রষ্টার কাছে ফানা চাওয়া ছাড়া নেই কোনো তদবির
সামাজিক সচেতনার গুরুত্ব যখন অপরিসীম
অসচেতন জাতিকে বুঝাতে, খাচ্ছেন সবাই হিমসিম।
ঘরে খাকুন প্রিয় দেশবাসী, বাঁচার যুদ্ধ করুন
চোখ খুলুন, দেখুন, পরাশক্তিগুলো গুনছে লাশের সংখ্যা
তাদেরও আছে পরিবার পরিজন, আছে মৃত্যুর ভয়
তবুও সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিজিবি, র্যাব, সচেতন করতে পথে পরে রয়।
নিশ্চিত মৃত্যু জেনেও করছেন না অর্পিত দায়িত্ব হেলা
প্রাইভেট ক্লিনিক, ব্যক্তিগত চেম্বারে চলছিল ব্যবসা রমরমা
সারা বিশ্বে নিবেদিত প্রান ডাক্তারগণ করছেন করোনা আক্রান্তের সেবা
ক্লিনিক বন্ধ, চেম্বার তালা, কোথায় আছেন আমাদের ডাক্তার বাবুরা।
মমতাময়ী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যখন ছাড়ছেন হুংকার
বাবা মাফ করেছেন কম্বল চোরদের
আমি ক্ষমা করবোনা চাল চোরদের
ত্রাণ নিয়ে করলে দুর্নীতি পাবে না কেউ নিস্তার
চোরের শিশু চোরগুলো, তখন না পেয়ে ভয়
দুর্গতদের চাল চুরিতে মহা ব্যস্ত রয়।
ডাল-কুত্তাটার কথা কি বলব, জীবনভর শুধুই অসভ্যতা
নাম তার শয়তান (ছদ্ম নাম), আলেমের ঘরে এ এক জালেম
রাতে ফিরে ঘরে, বৃদ্ধ মাকে বলে, এখন কি ঘরে থাকার সময়
সন্ধ্যা থেকে মকবুল কে নিয়ে ত্রাণ বিতরনে ব্যস্ত থাকতে হয়
মা তার বলে, করলি একটা কাজ তোর জীবনে আজ
পরক্ষনেই বৃদ্ধা চশমা উচিয়ে বলে, কিরে চাউলের বস্তা নিয়ে কে এলো ঘরে
নির্লজ্জটা বলে বিরোধী দল করি বলে, মাত্র এক বস্তা পরলো চোরের ভাগে।
বাঙ্গালীকে যদি আল্লাহ দিতেন, কেয়ামতের দিন বাংলার দায়িত্ব
সেই কঠিন দিনেও দিতেন পুরে ভয়ানক দোজখে, যদি না পেতেন ঘুষ
করোনা যখন গ্রাস করে চলছে, প্রিয় লাল সবুজের বাংলাকে
তখন কি দেখছি আমরা, স্বাস্থ্য মন্ত্রীর সুযোগ্য পুত্রের চরিত্রে।
সুন্দর এই পৃথিবী ছেড়ে, চলে যেতে চায় কার মন
সংসারের আহা কি মায়া… তবুও সব ছেড়ে চলে যেতে হয়।
কি বার্তা দিয়ে গেল বিশ্ববাশীকে ” ভাইরাস করোনা ”
কাফন আমার আপন, কবর আমার ঘর
তার পরেও কি বুঝতে পেরেছি এটা কিসের ফল
লাখো মানুষের মৃত্যুতেও পরে না চোখের জল।
বাংলার জনতা আজব!
বাঙ্গালী জাতি বিপদজনক!
ইসরাফিল ফেরেশতা সিঙ্গা হাতে
আজও কি তোরা হবি না মানুষ?
বাংলাদেশ সময়: ১:১৭ অপরাহ্ণ | রবিবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২০
জাপানের প্রথম অনলাইন বাংলা পত্রিকা | pr placid