চঞ্চল কুমার ভৌমিক | সোমবার, ২৪ মে ২০২১ | পড়া হয়েছে 453 বার
করোনার ভয়াবহতায় ২০২০ সালের ১৬ মার্চ থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ আছে। যদিও অনলাইন ক্লাস, এসাইনমেন্ট, সংসদ টিভির ক্লাসের মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে কিন্তু এক্ষেত্রেও সমস্যা আছে, শিক্ষার্থীরা অনেকে অনলাইন ক্লাস করার পাশাপাশি অনলাইন গেমে চরমভাবে আসক্ত হয়ে পড়ছে, এতে করে তারা মানসিকভাবে পর্যুদস্ত হচ্ছে। সরকার পরিস্থিতির উপর নজর রেখেছেন, গত মার্চ মাসে প্রতিষ্ঠান খোলার পূর্বপ্রস্তুতি জোরেশোরে শুরু হয়েছিলো, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিস্কার করা, তাপমাত্রা মাপার মেশিন, স্যানিটাইজার, মাস্ক, বসার ব্যবস্থা সহ নানা প্রস্তুতির জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছিলো, সব ঠিকঠাক কিন্তু হঠাৎ করেই মার্চে প্রকোপ বাড়তে থাকে করোনার। অসম্ভব হয়ে পড়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা। এখনও সেই পরিস্থিতি চলছে তবে যে হারে শুরু হয়েছিলো সেই হার কমে এসেছে। এখন প্রতি ১০০ টি রুগীর স্যাম্পলে ৬/৭/৮ % এর মতো আক্রান্ত পাওয়া যাচ্ছে। এরমধ্যে ভারতের করোনা পরিস্থিতি বিভৎস আকার ধারণ করে। আমাদের চারিদিকের ভারতের সীমানা, সুতরাং সেই ভয়টি আমাদের এখনও আছে। এ পর্যন্ত পরিস্থিতি খুব খারাপ নয়। নীতি নির্ধারকেরা নিশ্চয়ই চিন্তাভাবনা করছেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে। এরমধ্যে অনলাইন ক্লাসের বিষয়ে জোর তাগিদ দেওয়া হয়েছে, এসাইনমেন্ট আবার শুরু হয়েছে। একটি বিষয় আমার মনে হয় যে হয়তো আরও কিছু মাস, বছর আমাদের করোনার সাথে কাটাতে হতে পারে এবং করোনার সাথে তাল মিলিয়েই আমাদের সব কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে হতে পারে। সেক্ষেত্রে এক বছরের অবজারভেশনে দেখা যাচ্ছে যে করোনা শীতের সময় মানে ডিসেম্বর, জানুয়ারীতে কিছু করলো না, আক্রমণ শুরু হলো মার্চে ঠিক গতবছরেও তাই, আর এ বছরেও তাই। সেটা কমে আসে মে/জুন মাসের মধ্যে। তাই যদি হয় তবে জুলাই,থেকে পরবর্তী বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আমরা প্রয়োজনীর কার্যক্রম চালিয়ে নিতে পারি, অনেকটা করোনার সাথে লুকোচুরির মতো। সবকিছুই নির্ভর করবে এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের ও নীতি নির্ধারকদের নির্দেশনা। আমাদের সন্তানদের জীবন এবং শিক্ষা দুটোই গুরুত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে আবেগ নয়, বিবেচনা করেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ৯:৫০ অপরাহ্ণ | সোমবার, ২৪ মে ২০২১
জাপানের প্রথম অনলাইন বাংলা পত্রিকা | pr placid